Description
Safe Broiler Chicken (Skinless Dressed) – নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি (চামড়া ছাড়া, ড্রেসড)
“এত এত খারাপ সংবাদ শুনে ব্রয়লার মুরগী খাওয়া ছেড়েই দিয়েছি। কি দরকার টাকা দিয়ে বিষ কিনে খাওয়ার?”
উপরের মন্তব্যটি বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষের।
ফার্মের মুরগীর প্রতি মানুষের বর্তমান ধারণার জন্য দায়ী মুরগীর শরীরে নানা ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট। এর ফলে আমাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে মুরগী থেকে প্রাপ্য উপকার থেকে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রায় আটা নব্বই ভাগ মুরগীতে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক পান। মানবদেহের জন্য হুমকী এই এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে অদূর ভবিষ্যতে সামান্য অসুখেই মানুষ মারা যেতে শুরু করবে।
গ্রোথ প্রোমোটার কিংবা সিন্থেটিক ওষুধ ব্যবহারে মুরগী দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সেই মুরগী লিভার এবং কিডনী ড্যামেজ করে দিবে ধীরে ধীরে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগী লালন পালন করায় প্রচুর জীবাণু লেপটে থাকে এবং সেগুলো কোন ভাবে আমাদের শরীরেও প্রবেশ করে।
তবে কি বাংলাদেশের মানুষের মুরগী খাওয়া বন্ধ করতে হবে?
ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ফ্যাকাল্টি অভ এনিম্যাল হাসবেন্ডরির একদল তরুণ উদ্যোক্তা এগিয়ে এসেছেন এ সমস্যা সমাধানে। প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিকের পরিবর্তে ভেষজ উদ্ভিদ বা হার্বাল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ব্রয়লার মুরগী লালন পালন শুরু করেন।
সাধারণ খামারীরা যেখানে কেনা ফিডের উপর নির্ভর করেন সেখানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেসব খাদ্যের উপর নির্ভর না করে নিজেরাই এমবিএম মুক্ত প্রাকৃতিক উপায়ে নিজস্ব রেশনে ফিড তৈরী করেন যা গ্রোথ প্রোমোটার, স্টেরয়েড কিংবা অন্য কোন ভারী পদার্থ হতে মুক্ত। ফলে মুরগীতে প্রোটিন থাকে অনেক বেশি।
কোন প্রকার সিন্থেটিক ঔষধ ব্যবহার না করে ব্যবহৃত হয় অল্টার্নেটিভ হিসেবে অর্গানিক হার্বাল ট্রিটমেন্ট করে থাকি। যেমন- সিভিট বা ভিটামিন-সি ট্যাবলেটের পরিবর্তে লেবু, নিমপাতা, তুলসী ইত্যাদির রস খাওয়ানো হয়। তাই মাংস থলথলে হয় না এবং পুরো মাংসই থাকে প্রাকৃতিক।
বায়োসিকিউরিটি দৃঢ়ভাবে মেনে চলা হয়। অ্যামোনিয়ার হাত থেকে মুরগী বাঁচাতে মাঁচা পদ্ধতিতে ফ্লোরিং করা হয়। তাই স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে না। তবে যেহেতু কোন এন্টিবায়োটিক বা সিন্থেটিক মেডিসিন ব্যবহার না করে শুধু হার্বাল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাই মুরগীর মৃতের হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়।
ব্রয়লার জবাই এবং জবাই পরবর্তী প্রসেসিংও করা হয় নিজ দায়িত্বে। যেন কোন জীবাণু যুক্ত হতে না পারে।
প্রচলিত ফার্মের মুরগী যেখানে গ্রোথ প্রোমোটার ব্যবহার করার ফলে ২৫-৩০ দিনের মধ্যে বাজারজাত উপযোগী হয়ে যায়, সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে পালিত মুরগী খাবার উপযোগী হতে লাগে ৪০ দিনের মত।
এভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার পরও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকে পুরো প্রজেক্টটি।
আমরা সেই শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম ও সাধনার ফসল সেফ ব্রয়লার ময়মনসিংহের ফার্ম থেকে নিয়ে এসে আপনাদেরকে সরবরাহ করবে ইন শা আল্লাহ। আর সাথে সেইফ এগ তো থাকছেই আরো সুলভ মূল্যে।
শুধু মাত্র ঢাকা শহরে হোম ডেলিভারি নিতে পারবেন।
www.dailyfoodshop.com