Sale!

Homemade Butter – হোমমেইড মাখন

৳ 500.00

Butter 500gm – বাটার ৫০০ গ্রাম

Out of stock

SKU: butter-বাটার-মাখন Category: Tags: , ,

Description

বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই প্রিয় খাদ্য গুলির মধ্যে অন্যতম হল মাখন (Butter)। ভাত থেকে শুরু করে, বিস্কুট দিয়ে, পাউরুটি দিয়ে, বিভিন্ন রান্নায় বহুভাবে আমরা মাখন খেয়ে থাকি। এটি হল সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর এবং সহজলভ্য একটি খাদ্য।

মাখন (Butter) কি?
মাখন হল এক ধরনের দুগ্ধজাত পণ্য। মূলত দুধ থেকে তার ঘন অংশটা কে আলাদা করে নিয়েই মাখন তৈরি করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘন গরুর দুধ কিংবা ভেড়া, ছাগল, মহিষ ইত্যাদি স্তন্যপায়ী প্রাণীর দুধ থেকে তার ঘন অংশটা তুলে নিয়ে মাখন তৈরি করা হয়।

মাখনের (Butter) পুষ্টিমূল্যঃ
মাখন এর মধ্যে কি কি উপাদান কত পরিমাণে রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে যথাযথ ভা(6)

১০০ গ্রাম মাখন এর মধ্যে রয়েছে –

ক্যালোরি – ৭১৭ কেসিএল
স্যাচুরেটেড ফ্যাট -৫১ গ্রাম
পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট – ৩ গ্রাম
মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট – ২১ গ্রাম
ট্রান্স ফ্যাট – ৩.৩ গ্রাম
কোলেস্টেরল – ২১৫ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম – ১১ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম – ২৪ মিলিগ্রাম
প্রোটিন – ০.৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট – ০.১ গ্রাম
ভিটামিন এ – ৪৯ %
ক্যালসিয়াম – ২%
ভিটামিন-ডি – ১৫%।

মাখনের উপকারিতা ও প্বার্শ প্রতিক্রিয়া | Butter Benefits & Side Effects
মাখনের মধ্যে যেহেতু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে সে কারণে মাখনের থেকে আমরা বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ে থাকি। আসুন জেনে নিন মাখনের কিছু কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে –

১) হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় মাখনের ভূমিকাঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা হতে পারে মাখনের মধ্যে যেহেতু ফ্যাট জাতীয় খাদ্য উপাদান বেশি রয়েছে এটি হার্টের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য ভালো নাও হতে পারে। তবে হ্যাঁ গবেষণায় দেখা গিয়েছে অত্যধিক মাখন খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে হার্টের সমস্যা, টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত মাখন গ্রহণের ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তবে গবেষকরা গবেষণায় দেখেছেন, মাখনের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকলেও তার পাশাপাশি এর মধ্যে এমন কিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলো স্বল্প পরিমাণে গ্রহণ করার ফলে হৃদরোগীদের শরীরে ভালো প্রভাব ফেলতে পারে। দৈনিক যদি এক টেবিল চামচ করে মাখন খাদ্য তালিকায় রাখা যায় সেক্ষেত্রে টাইপ টু ডায়াবেটিসের সমস্যা এবং হৃদরোগের সমস্যা অনেকটা কমে যেতে পারে। কেননা কোলেস্টেরল এর পাশাপাশি মাখন এর মধ্যে বেশকিছু ভালো ফ্যাট রয়েছে যেগুলো শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়।

২) পেটের চর্বি কম করতে মাখন এর ব্যবহারঃ
অত্যধিক তেল-মশলাযুক্ত কিংবা ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে অনেকেই পেটে বাড়তি চর্বি হয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। এই ভুঁড়ি দেখতে খারাপ লাগে, এর পাশাপাশি শরীরেও এর খারাপ প্রভাব পড়ে। আমরা জানি মাখন খাদ্যতালিকায় রাখলে তাতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে। এটি শরীরের মেদ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তবে কেবলমাত্র মাখন গ্রহণ করেই পেটের চর্বি বৃদ্ধি পেয়েছে কিংবা শরীরের মেদ বৃদ্ধি পেয়েছে এমন কোনো যথাযথ গবেষণা নেই। কেননা খাদ্যতালিকায় এমন প্রচুর খাদ্য আমরা সারা দিনে খাই যেগুলি আমাদের ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। স্পষ্টতই যারা মিষ্টি যুক্ত খাদ্য, তেল মশলাযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণ খান তাদের পেটে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে থাকে, যা সারা শরীর থেকে সেখানে এসে জমে। তবে আপনি যদি দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ মাখন খাওয়া শুরু করেন এবং অন্যান্য ফ্যাট জাতীয় খাদ্য খাওয়া কমিয়ে দেন সে ক্ষেত্রে শরীর তার প্রয়োজনীয় ক্যালোরি গ্রহণ করবে এবং প্রতিদিন যথাযথ ক্যালোরি ক্ষয় ও করবে। যার ফলে পেটের মেদ কমতে থাকবে। অনেক পুষ্টিবিদেরা খাদ্যতালিকায় মাখন রাখেন যাতে শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালরির পূরণ হয়। তবে মাখন খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ফ্যাট জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ খাদ্য তালিকায় সেই হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

৩) লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে মাখন এর ভূমিকাঃ
খাদ্যতালিকায় যেকোনো ধরনের দুগ্ধজাত পণ্য রাখলে সেটি লিভার ক্যান্সারের সমস্যা কম করে। সব ধরনের দুগ্ধজাত পণ্য থেকেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়, যেগুলো শরীরে কোলেস্টেরল এর সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। তবে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে দৈনিক যারা খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাতীয় খাদ্য, যেমন দুধ মাখন এ সমস্ত খাদ্য গ্রহণ করেন তাদের লিভার ক্যান্সারের সমস্যা অনেকটা কম হয়। এছাড়াও লিভারের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য অন্যতম একটি খাদ্য বাদাম। এক্ষেত্রে বাদাম থেকে তৈরি মাখন খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে। কেননা বাদামে সাধারণত অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেগুলো শরীরের প্রদাহ করতে এবং অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সহায়তা করে। তবে এর ক্যালরি বেশি হওয়ায় খুব বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।

৪) স্তনের বৃদ্ধি কমাতে মাখন এর ব্যবহারঃ
সন্তান জন্মের পরেই প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রে অনেকেরই দেখা যায় হঠাৎ স্তনের আকার সাংঘাতিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে যায়, যার ফলে অনেক সময় সেটি দেখতে খারাপ লাগে। এক্ষেত্রে স্তনের বৃদ্ধি কম করতে মাখন ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঁচা মাখন যদি দৈনিক স্তনের ওপর লাগিয়ে দু-তিন মিনিট ম্যাসাজ করা যেতে পারে এক্ষেত্রে কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই উপকার পাওয়া যাবে। কিংবা মাখন থেকে তৈরি যেকোনো ধরনের ক্রিম এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যেকোনো বাজার চলতি পণ্য ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন যদি আপনার শিশু স্তন্যপান করে থাকে। অন্যথায় কাঁচা মাখন ব্যবহার করতে পারেন স্তনের বৃদ্ধি কম করার জন্য।

৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাখন এর ব্যবহারঃ
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহারকারী খাদ্য গুলির মধ্যে অন্যতম একটি খাদ্য হলো মাখন। মূলত পিনাট বাটার আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। এই মাখন এর মধ্যে ভিটামিন ই এবং অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান গুলি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে তাই ঋতুকালীন যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা আমাদের শরীরে গড়ে তোলা প্রয়োজন সেগুলো জন্য এটি সহায়ক। দৈনিক খাদ্য তালিকায় যদি প্রাতঃরাশে পাউরুটির মধ্যে দিয়ে এই পিনাট বাটার খাওয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে শরীর তার প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।

৬) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাখন এর ব্যবহারঃ
মাখনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন তারা মাখন গ্রহণ করার ফলেই শরীরের অনেক ক্যালোরি পূরণ হয়ে যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই আমরা দেখি, যারা ডায়েটে রয়েছে তারা খাদ্যতালিকায় পিনাট বাটার গ্রহণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে বেশকিছু খাদ্য উপাদান এছাড়াও উচ্চস্তরের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা ওজন কম করতে এবং হৃদরোগ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। দৈনিক যদি এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার গ্রহণ করা যায় সে ক্ষেত্রে ১০০ ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। তাই গবেষণায় দেখা গিয়েছে পিনাট বাটার গ্রহণ করার ফলে শরীরে ওজন কম হতে থাকে।

৭) ক্যান্সার বিরোধী উপাদান হিসেবে মাখন এর ভূমিকাঃ
মাখনের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ফ্যাট জাতীয় খাদ্য উপাদান গুলো শরীরে ক্যান্সার রোগের জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও মাখন ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, যে সমস্ত ক্যান্সার রোগীদের খাদ্য তালিকায় মাখন রাখতে বলা হয়েছে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় উন্নত। এছাড়াও তাদের মধ্যে নতুন করে ক্যান্সারের জীবাণু উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তাই যে সমস্ত রোগীরা ক্যানসারের সমস্যায় ভুগছেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যতালিকায় মাখন রাখার চেষ্টা করুন।

৮) অন্ত্রের সমস্যা কম করতে মাখন এর ব্যবহারঃ
মাখন এর মধ্যে রয়েছে এমন এক ধরনের ফ্যাটি এসিড যেগুলি আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি পেটের ভেতরের মধ্যে যে কোনো প্রদাহ কম করতে, শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে এবং কোলন স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়তা করে। মাখন সাধারণত ওজন কম করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। মাখন এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর মত চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় ভিটামিন গুলো। এগুলি শরীর শোষণ করার ফলে পেটের সমস্যা অনেকটা কম হয়। এছাড়াও রয়েছে এক ধরনের পিনাট বাটার, এটি অত্যন্ত সুস্বাদু। যেগুলো গুনমানেও অনেক কার্যকরী। খাদ্য তালিকায় এটি রাখলে শরীরের ভেতরের যে কোন সমস্যা, যেমন – পেট ফাঁপা ভাব কম করতে, শরীরে গ্যাস তৈরি করার সমস্যা কম করতে সহায়তা করে।

মাখন (Butter) এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
ইতিমধ্যেই আমরা মাখনের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলি সম্পর্কে জেনে নিয়েছি। তবে মাখনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকার জন্য এটি অনেক সময় বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সেক্ষেত্রে এর তালিকা কম হলেও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার ওপর এটি প্রভাব ফেলে। মাখন দৈনিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। কেননা এটির মধ্যে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তবে এর মাত্রা যখন বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে এগুলি বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। যেমন –
১. শরীরের হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি করিয়ে দেয়, এক্ষেত্রে শরীরে হঠাৎ স্থূলতা হৃদরোগের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
২. হাইপারটেনশনের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
৩. হৃদরোগের সমস্যা থাকলে অত্যধিক মাখন গ্রহণের ফলে সেটি বেড়ে যায়।
৪. মাখন একটি ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান, তবে এটি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করার ফলে ক্যান্সার এর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

তাই মাখন ব্যবহার করার সময় এর পরিমাণ মাথায় রেখে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার শরীরে কত পরিমান মাখন প্রয়োজন সেটি জেনে নিয়ে দৈনিক খাদ্য তালিকায় গ্রহণ করুন।

Sources:
– StyleCraze

The effect of ghee (clarified butter) on serum lipid levels and microsomal lipid peroxidation,
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3215354/
Butter, margarine, and cooking oils,
 https://medlineplus.gov/ency/patientinstructions/000095.htm
Peanuts as functional food: a review,
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4711439/
Dietary fat,
 https://www.betterhealth.vic.gov.au/health/healthyliving/fats-and-oils
FoodData Central,
https://fdc.nal.usda.gov/fdc-app.html#/food-details/171314/nutrients
Low-fat (41%) butter use decreases butter lipid intake over 4-week trials in healthy persons,
https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/8561485/